গিমা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
গিমা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভূমিকা
গিমা শাক (Gima Shak) বা ডিমা শাক একটি পরিচিত ও উপকারি শাক যা সাধারণত পতীত
জমিতে জন্মে। এটি তেতো সাধের হলেও এর রয়েছে অনেক ঔষধি গুনাগুন। এটি হজম
ক্ষমতা বৃদ্ধি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সেইসাথে ওজন
কমাতে সহায়ক। এছাড়া গিমা শাকের একটি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান
শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সাহায্য করে। অনেক উপকার ও পুষ্টি গুনে ভরপুর এই
শাক টি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই এর গুনাগুন সম্পর্কে জেনে আমরা এই
শাক নিয়মিত খেতে পারি।
গিমা শাকের উপকারিতা গুলো কি কি
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
গিমা শাক হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
গিমা শাকে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের শক্তি ও হজম
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের অনেকেরই হজমের সমস্যা রয়েছে
তাই আমাদের যাদের পেটে হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খেতে
পারেন পুষ্টিগুনে ভরপুর এই গিমা শাক । বাজারের হজম শক্তি বৃদ্ধির ওষুধের
চাইতে দ্বিগুণ কাজ করবে এই প্রকৃতির মাঝে ফুটে থাকা সবুজ গিমা শাক।
আরো করুন পড়ুন: কাচা কলার উপকারিতা
অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে
আমাদের যাদের মধ্যে ওজনের সমস্যা রয়েছে অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আমরা কতইনা
নিয়ম কতইনা খাবার খেয়ে থাকিঁ। আসলে জানেন কি? ওজন কমানোর মহা ঔষধ হিসেবে আপনি
ব্যবহার করতে পারেন এই উদ্ভিদ অর্থাৎ গীমা শাক। প্রতিনিয়ত ডায়েট কন্ট্রোলের
পাশাপাশি আমাদের যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা এই শাকটি সালাত হিসেবে বা সবজি
হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। নিয়মিত এই শাক ব্যবহার করলে ওজনের সমস্যা দূর হবে ও
শরীরের ফিটনেস স্বাভাবিক হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণের গিমা শাক বেশ উপকারী, নিয়মিত গিমা শাক খেলে এই সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের
নিয়মিত এই শাক খাওয়ালে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আমরা কতই না পথ অবলম্বন করি। আসুন আমরা একবার
চেষ্টা করে দেখি এই গিমা শাকটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে কিনা।
তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমরা সকলে রাখতে পারি পুষ্টিগুনে ভরপুর গিমা
শাক।
পেশীয় হাড়ের ব্যাথা কমে
গিমা শাক মাংস পেশি ও হাড়ের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে, ইদানিং আমাদের যাদের বয়স ৪০ এর উপরে যাদের স্বাস্থ্য একটু বেশি বিশেষ করে
তাদের বেশিরভাগ মানুষেরই হাঁটু বা জয়েন্টের ব্যথা। শরীরের হাড়ের কোমরের ব্যথা
অনুভব হয়ে থাকে। এই ব্যথা কমানোর জন্য আমরা অনেক বড় বড় এমবিবিএস ডাক্তার
দেখায় এবং নিয়মিত তাদের নিয়ম নিষেধ পালন করে থাকি। একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি
যে প্রাকৃতিক উপায়েও বেশি বা জয়েন্টের ব্যথা কমানো সম্ভব। আসুন আমরা
কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলি। পেশীয় হাড়ের ব্যথা কমানোর জন্য আমাদের
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমরা রাখতে পারি এই পুষ্টিগুনে ভরপুর গীমা শাক।
এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ রোধি উপাদান
গিমা সাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ রোধী উপাদান ওর শরীরের
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য। করে আমাদের শরীরে যাদের প্রদাহ জনিত সমস্যা
রয়েছে তারা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারি এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ভরপুর
গিমা শাক। স্বাদের হয়ে থাকে প্রায় অনেক এটি খেতে পছন্দ করেনা তবে এর ঔষধি
গুনাগুনের কথা বিবেচনা করে নিয়মিত খাদ্য তালিকা যোগ করা যেতে পারে সালাত বার
সবজি হিসেবে। এইতো গেল এবার শাকের উপকারিতা কথা। এবার চলুন নিচে জেনে নেই এই
শাকের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
গিমা শাকের অপকারিতা নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো
গিমা শাক খাওয়ার তেমন কোন অপকারিতা বা সতর্কতা নেই তবে বিশেষজ্ঞদের মতে
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে তাই আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক
থাকা উচিত আমরা জানি যে অতিরিক্ত মাত্রায় কোন কিছু গ্রহণ করা ঠিক নয় তাই এর
উপকারিতা পেতে চাইলে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত তবে আরেকটি বিষয়
খেয়াল রাখতে হবে যে গর্ব অবস্থায় সাত থেকে বিরত থাকা উচিত হবে তাই আমাদের সকল
বিষয়ের উপর সতর্ক থাকা উচিত যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের গিমা শাক
এড়িয়ে চলাই উত্তম আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া
ঠিক নয় তাই গিমা শাক খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ায় ভালো।
সর্বোপরি আমাদের শেষ কথা
এতক্ষণ আমরা আপনাদের সঙ্গে গিমা শাকের উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করলাম এই আলোচনার মধ্যে আপনাদেরকে কতটুকু সহযোগিতা করতে পেরেছি সেটা
জানি না। তবে চেষ্টা করেছি আলোচনাটুকু পড়লে যেন আপনাদের উপকারে আসে, তার
সর্বোচ্চ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। চাইলে আপনি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে
পারেন এই শাকটি এতে করে এইশাকে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার শরীরের
অনেক বেশি উপকার বয়ে আনতে পারে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় এটি গ্রহণ করা
থেকে বিরত থাকাই ভালো।
আশা করি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বিস্তারিত ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন
আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে আজকে এখানে শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url