দেখুন কোন  সবজির খসা খেলে শরীরে কি কি উপকার হয়

সবজি

শুরুতে আলোচনা করে নেয়া যাক সবজির খোসা খেলে শরীরে কি কি উপকার হয, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি থাকা অত্যাবশ্যকীয়। প্রতি দিন আমরা কোন না কোন সবজি খেয়ে থাকি, সবজির মধ্যে রয়েছে লাও, কলা, পেপে, বেগুন, শশা,  আরও অন্যান্য অনেক সবিজ, যা খেলে আমাদের শরীরে কোন কোন উপকার হতে পারে সে বিষয় নিয়ে আসুন নিম্নে আমরা পূর্ণাঙ্গালোচনা করে দেখি। 


  1. লাউয়ের খোসা খেলে পেট সুস্থ থাকবে
  2. পটলের খোসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়
  3. কাঁচা কলার খোসা খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়
  4. পেঁপের খোসা খেলে  হজমের শক্তি বৃদ্ধি হয়
  5. কমলালেবুর খোসা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় 
  6. কলমি শাক খেলে কি কি উপকার পাবেন
  7. বাঁধাকপির যত উপকারিতা জেনে নিন

লাউয়ের খোসা খেলে পেট সুস্থ থাকবে

লাউয়ের খোসায় প্রচুর আঁশ থাকে, যা হজমের সহায়তা করে এটি পেটে গ্যাস অম্বল কমাতে সাহায্য করে। লাউয়ের খোসা মুখরোচক হিসেবে কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অক্সিডেন্ট উৎপাদন করে পেটের প্রদাহ কমায লাউয়ের খোসা ব্যাকটেরিয়া রোদে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার করে  থাকে যার থেকে বাঁচাতে লাউ স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। 


পটলের খোসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়

পটলের খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়, কিন্তু এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই পটল রান্নার সময় খোসা ফেলে না দিয়ে তা ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করাই উচিত। পটল শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।  গরমকালে শারীরিক স্বস্তি দেয়, পটল ও এর খোসার দুটোই কম ক্যালরি যুক্ত  হওয়ায় ওজন কমাতে সাহায্য করে পটলের খোসা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।  


কলার খোসা খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়

কলা আমাদের সবার একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল, এটি কাঁচা এবং পাক্কা উভয় খাওয়া সম্ভব, কলার খোঁচায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে কলার খরচায় অক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনন এবং ক ক্যারোটিন এর থাকে যার শরীরের গোষ্ঠীর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে বলার খোসা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলার খোসা খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত এবং যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


পেঁপের খোসা খেলে  হজমের শক্তি বৃদ্ধি হয়

কাঁচা পেঁপে হজমসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। যাদের বদহজম অম্বল প্রেক্ষাপট সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখতে পারে পুষ্টিবিদরা বলেছেন কাঁচা পেঁপে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে তাই ডায়াবেটিসের পেঁপে রাখতে বলা হয় তরকারিতে আলুর বদলে কাঁচা পেঁপে খেতে বলা হয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা ত্বক ভালো রাখা এবং হৃদরোগের যদি কমানোর মত উপকারিতা পেঁপের মাধ্যমে পাওয়া যায়। কাঁচা পাকা পে পেতে যেমন রয়েছে উপকারিতা ঠিক তেমনি কলার খোসাতেও রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমরা পেঁপে এবং পেঁপে পোশাকে প্রাধান্য দেই।


কমলালেবুর খোসা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

হা কমলালেবুর খসা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কমলালেবুর খসায় ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে । যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এটি  ঠান্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। শীতকালে নিয়মিত কমলা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। সাধারণত কমলা খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দেয় কমবেশি সবাই, তবে জানলে অবাক হবেন এই খোসা  কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। আবার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে কমলার খসা তাই না ফেলে খেয়ে নিন কমলালেবুর খসা এতে শরীরে  মিলবে নানা পুষ্টি আর কমলালেবুর খসাতে যে খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য লেবুর খোসা ভিটামিন সি ও মিনারেলে ভরপুর।  এটি খেলে হজম ভালো হয় মানসিক চাপ কমে মেজাজ ভালো হয়। 

কলমি শাক খেলে কি কি উপকার পাবেন

কলমি শাক খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায় এটি ভিটামিন খনিজ এবং আর সমৃদ্ধ একটি সবজি কলমি শাক খেলে যা যা উপকার পাওয়া যায় তার মধ্যে প্রধান হল রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কলমি শাক. কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কলমি শাক ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কলমি শাক লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা অনন্য ম্যাগনেসিয়াম আছে তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিডের চাহিদা পূরণ করে এই কলমি শাক।

বাঁধাকপির যত উপকারিতা জেনে নিন

বাঁধাকপি একটি শীতকালীন সবজি যার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাঁধাকপি হয় হজম শক্তি বাড়াতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ওজন কমাতে এবং হৃদরোগের ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বাঁধাকপিতে ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক বাঁধাকপি থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টি এক্সিডেন্ট ত্বককে সুস্থ এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাঁধাকপি উপকারী হতে পারে কারণ এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 


শেষ কথা

শেষ কথায় আমরা বল এই সবজি গুলোর মধ্যে কিছু কিছু সবজি আছে যেগুলো আমাদের শরীরের উপকার করার চাইতে ক্ষতি বেশি করবে তাই আসুন আমরা সবজির ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে। সবজিতে ক্ষতি করে কোন সবজি উপকার করে এটা নির্ণয় করে যার শরীরের সঙ্গে যেটা ম্যাচ করবে সে সেটাই নিয়মিত খেতে পারি। উপরে উল্লেখিত যে সকল সবজি বা সবজি খোসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এর মধ্যে সবগুলো আমাদের শরীরের কোনো না কোনোভাবে উপকার করে থাকে। তাই কোন সবজি কি ভিটামিন আছে এটা সঠিকভাবে জেনে আমাদের শরীরকে ঠিক রাখার জন্য সেই সবজি বা সবজির খোসা গুলো আমরা নিয়মিত খেতে পারি। খেলে যা  হবে শরীরের রোগ বালাই দূর হবে শরীরের পুষ্টির গুনাগুন ঠিক থাকবে এবং শরীরকে সুস্থ রাখবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url