সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য একটু অত্যন্ত পবিত্র মাস এ মাসের গুরুত্ব জেনে নিন

ভূমিকা

কার্তিক মাস সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি অত্যন্ত পবিত্র মাস। যা দামোদর মাস নামেও বিশেষ খ্যাত এবং পরিচিত এবং ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর মাস হিসেবে খেতো। এই মাসে ব্রত ও বিদ দানের মত পূর্ণ কর্ম করলে সহস্র গুণফল লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়  এই মাসের সংযম পালন নির্দিষ্ট কিছু স্নান করার মাধ্যমে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কার্তিক মাসে পালনীয় ধর্মীয় উৎসবগুলোকে তারা অন্যান্য মাসের চেয়েও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে। 


কার্তিক মাসের গুরুত্ব ও ব্রত

কেন পালন করা হয়

এবার আসুন বিস্তারিত আলোচনাগুলো জেনে নিন

id="1"বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর মাস

কার্তিক মাসকে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মী অত্যন্ত প্রিয় মাস বলে মনে করা হয় ।তাই এই মাসে তাদের সেবা করলে বিশেষ ফল লাভ হয় বলে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা হিন্দু ধর্মালম্বী লোকজন এটাকে বিশেষভাবে বিশ্বাস করে এবং অন্তরে ধারণ করে। সেই সাথে এই কার্তিক মাসে যে তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো রয়েছে হিন্দুরা তার বিশেষভাবে পালন করার চেষ্টা করে এবং ভগবানের কাছে তাদের প্রার্থনা গুলো তুলে ধরে এই কার্তিক  মাসে।

id ="2"কার্তিক মাসে পালনীয় দিবস সমূহ

কার্তিক মাসের হিন্দুরা দীপাবলি ভাই-দূর্য গোবর্ধন পূজা বা অন্যকট ও কার্তিক পূর্ণিমা এর মত বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে এই মাছটি সাধারণত আলোর উৎস দীপাবলি ও ধনতেরাস দিয়ে শুরু হয় এবং এর শেষ হয় কার্তিক পূর্ণিমায় যা ত্রিপুরি পূর্ণিমা নামে পরিচিত দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিন হিসেবে পালিত হয় দিন সোনা রুপা ও নতুন জিনিস কেনা শুভ বলে মনে করা হয়

দীপাবলি অমাবস্যার রাতে পালিত এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আলো ও আনন্দ উৎসব, দীপাবলীর পরবর্তী দিনগুলোই গোবর্ধন ও পাহাড়ের পূজা করা হয় যা ভক্তরা অন্যকুট বা বড় ভোজের আয়োজন করে
দীপাবলীর উৎসবের শেষ দিন ভাইবোনের সম্পর্কে স্মরণ করে এই উৎসব পালন করা হয়।

এছাড়াও রয়েছে কার্তিক পূর্ণিমা এটি কার্তিক মাসের শেষে উৎসব যা ত্রিপুরা পূর্ণিমা নামে পরিচিত এবং সারা ভারতের বিভিন্ন নামে পালিত হয় কার্তিক মাসকে হিন্দু ধর্মের জন্য দামোদর মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই মাসে ভক্তরা পালন করে কার্তিক মাসের বিভিন্ন ধরনের ব্রত যেমন একভুক্ত রক্ত রক্ত বা হরিশ ভজন পালনের বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে


id="3"মুখ্য লাভের মাস

হিন্দুদের আশ্বিন মাস যা সাধারণত মুখ্য লাভের মাস হিসেবে পরিচিত। এবং অন্যান্য উৎসব উদযাপন করে এই মাসটি দেবিদলক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেক হিন্দু পরিবারের এই মাসে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা করে। এই সময়কালে বিশেষত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং মা দুর্গার আরাধনার পর লক্ষী পূজা করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস মতে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে এই কার্তিক মাস।

id="4"দীপ দানের মহাত্ম্য

দীপ দান একটি আধ্যাত্মিক  কর্ম যা বিশেষত দামোদর মাসে অর্থাৎ কার্তিক মাসে পালিত হয়। যেখানে ভক্তরা ভগবানকে ঘি এর প্রদীপ নিবেদন করে পরমানন্দ ও ভগবান দামোদরের কৃপা লাভ করে। এই প্রদীপ বিনোদনের মাধ্যমে আর্থিক সর্দি ঘটে সকল প্রকার পাপ দূর হয় এবং ভক্তি বৃদ্ধি পায়।  যার ফলে ভক্তের জীবন উজ্জ্বলা হয়।

id="5"সূর্যোদয়ের আগেই স্নান

সূর্যোদয়ের আগে স্নান করা বা ব্রক্ষের স্নান করা হিন্দু ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এটি দ্বীনের প্রথম স্থান হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং এতে শরীফ ও মন কে পবিত্র করার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক উন্নতির সুযোগ থাকে সূর্য দেয়ার আগের সময়কে  বলা হয়
এই সময়ে স্নান করলে শরীর ও মন শুদ্ধ হয় এবং তিনটি আধ্যাত্মিকতার সাথে শুরু করা যায় আর না আবহাওয়ার আগে গরম জলে স্নান করা শরীরকে শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এ সময়ে স্নান করলে শারীরিক ও মানসিক তা আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

id="6"সংযম

হিন্দু ধর্মে সংযম পালনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ আত্মশুদ্ধি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও শারীরিক সুস্থতার প্রতীক বিবাহ পূজা ব্রত পালনের সময় উপবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা মনের সংযম এবং শারীরিক বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এর মাধ্যমে ভক্তরা নিজেদের দেবীর সান্নিধ্য অনুভব করতে পারেন এবং মনকে স্থির রাখতে পারেন তাই সংযম পালনীয় একটি হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

কেন পালন করা হয়

id="7"জীবনের সমস্যা থেকে মুক্তি 

সাধকরা বিশ্বাস করেন এই দিনে আপনি যা কিছু করবেন না কেন তার ফল বহু বলে পাওয়া যায়। এবং কখনোই শেষ হয় না এবং তাই সাধকরা এই শুভ মাসটিকে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে কার্তিক মাসের বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করলে বিশ্ব আশীর্বাদ লাভ করা যায়। কার্তিক মাসের ব্রত পালন করলে বৈকুন্ঠ লাভের আশাও করা যায় পুর আন মতে কার্তিক মাসের পক্ষের দ্বিতীয়বার দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের মনের সকল আশা পূরণ করে দেন।

id="8"সুখ ও শান্তি লাভ


সনাতন ধর্মালম্বী লোকেরা বিশ্বাস করে সারা বছরের মধ্যে এই কার্তিক মাসে তাদের যে পালনীয় ধর্মীয় উৎসবগুলো রয়েছে এগুলো যদি তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করে তাহলে তাদের জীবনের সুখ শান্তি লাভ হয় এবং তারা অন্যান্য মাসে তুলনায় এ কার্তিক মাসকে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। 


id="9"আধ্যাত্মিক উন্নতি

হিন্দু ধর্মে আধ্যাত্মিক উন্নতির মাধ্যমে জীবন থেকে মুক্তি বা মোক্ষলাভ করা যায় যার জন্ম মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি এবং পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হওয়াকে বুঝায় এই উন্নতির জন্য পুরুষার্থ বা জীবনের চারটি মূল উদ্দেশ্য যেমন ধর্ম অর্থ কাম মুখ্য অর্জনের ওপর জোর দেয়া হয় ধ্যানযোগ্য ও ধর্মীয় আচরণের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়।
হিন্দু ধর্মে আধ্যাত্মিক উন্নতি চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মুখ্য লাভ বন্ধন থেকে অনুভব করা যায়। এ পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য জীবনের চারটি লক্ষ্য যেমন ধর্ম নৈতিক ও সামাজিক কর্তব্য অর্থ সম্পদ কাম সুখ ও আনন্দ এবং বক্ষ করে অনুসরণ করা হয়। 

id="10"লেখক এর শেষ কথা

শেষ কথার মধ্যে আমরা এই বিষয় নিয়ে কথাগুলো আলোচনা করতে পারি যে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিক উন্নতির মাধ্যমে জীবন থেকে মুক্তি ও মুখ্য লাভ করা যায়। যা জন্ম মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি এবং পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হওয়াকে বোঝায় এই উন্নতির জন্য পুরুষার্থ বা জীবনের চারটি মূল উদ্দেশ্য যেমন ধর্ম অর্থ কাম মুখ্য অর্জনের উপর জোর দেয়া হ...। এন্ড যজ্ঞ এবং ধর্মীয় আচরণের মাধ্যমে এই আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হিন্দু ধর্মে আধ্যাত্মিক উন্নতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো মুখ্য লাভ করা সঙ্গে একান্ত অনুভব করা হয়। 
এই পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য জীবনের চারটি লক্ষ্য স্থির করে রাখতে হয় হিন্দু ধর্মের জন্মান্ত বাদে বিশ্বাস করে যার অর্থ আত্মা মৃত্যুর পর নতুন রূপে জন্মগ্রহণ করে চক্র থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url