ডায়াবেটিকস এড়াতে যেসব ফল কম খাবেন
ডায়াবেটিকস এড়াতে যেসব ফল কম খাবেন
ভূমিকা
নানা ধরনের অসুখ ডেকে আনার জন্য ডায়াবেটিকস যথেষ্ট। রক্তে শর্করা পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে লিভার কিডনি চোখের সমস্যা সহ আরো অনেক রোগ। তাই রক্তে শর্করা বা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন আমাদের খাবারের ধরনের অভ্যাসের যদি বড় রকমের পরিবর্তন আসে তবে বাড়তে পারে রক্তের সুগারের মাত্রা।
যাদের রাত জাগার অভ্যাস কিংবা দিনের বেলায় ঘুমায় তাদের রক্তের সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে। আমরা প্রতিদিন সকালে যে ফল খায় সেগুলো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন পানি অ্যান্ডি অক্সিডেন্ট এবং একাধিক পুষ্টিগুনে ভরা ।এসব ফলে থাকে প্রাকৃতিক শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় তবে যাদের রক্তে শর্করা পরিমাণ বেশি আছে তাদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ম মানতে হবে। যেসব খাবারের শর্করা বেশি আছে সেসব খাবার কম খাওয়ায় তাদের জন্য ভালো। জেনে নিন কোন ফল গুলোতে শর্করা বেশি থাকে।
আম
আমের গন্ধ ও শাদ দুটোই অনন্য মিষ্টি স্বাদের এই ফল ছোট বড় সবাই খে তে পছন্দ করে তবে আমে শর্করা পরিমাণ একটু বেশি থাকে এটি মাঝারি মাপের আমে থেকে ৪৫ গ্রাম । চিনি যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকেন বা ওজন কমাতে চান তবে আম কম খাওয়াই উত্তম। প্রতিদিন কতটুকু আম খাবেন তার চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিলে বেশি ভালো হয়।
আঙ্গুর
আঙ্গুর দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। তবে এই ফলে শর্করা পরিমাণ বেশি থাকে এক কাপ আঙ্গুরে থাকে প্রায় ২৩ গ্রাম চিনি। তাই বলে ডায়াবেটিস রোগীদের আঙ্গুর একেবারে বাদ দেয়ার দরকার নেই প্রতিদিন অল্প করে আঙ্গুল খেতে পারেন, এছাড়াও শুদ্ধি শেখ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।
চেরি ফল
মিষ্টি ফল চেরি ভিন্ন দেশি ফল হলে এটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় । তবে এতে শর্করা পরিমাণ বেশি থাকে এক কাপ চেরি ফলে প্রায় 18 গ্রাম চিনি থাকে ।তাই ওজন কমাতে চাইলে বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে চেরি ফল থেকে দূরে থাকাই ভালো।
নাশপাতি
নাশপাতি অনেকের কাছে প্রিয় একটি ফল এটি নানাভাবে আমাদের জন্য উপকার করে থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি বিশেষভাবে উপকারী নয...কারণ এটি মাঝারি মাপের নাশপাতি পাওয়া যায় মাত্র ১৭ গ্রাম চিনি তাই এই ফল খেলে রক্তের শর্করা পরিমাণ বাড়তে পারে । তবে দই কিংবা সালাতের সঙ্গে দু-এক টুকরা নাশপাতি খেলে কেমন কোন ক্ষতি হবে না।
কলা
কলা কে বলা হয় এনার্জি পাওয়ার হাউজ। কারণ এই ফল খেলে দ্রুত শক্তি বাড়ে এটি আমাদের শরীরে আরো অনেক পুষ্টি পৌঁছে দেয় তবে এটিও ডাইবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী নয়। কারণ এটি মাঝারি মাপের কলায় থাকে ১৪ গ্রাম চিনি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা কম খায় ভালো । তবে সকালের নাস্তায় পিনার্ট বাড়ির সঙ্গে কয়েক টুকরা কলা খেতে পারেন।
তরমুজ
তরমুজ গ্রীষ্মকালীন ফল গরমে প্রাণ জুড়াতে এই ফলের জুড়ি নেই এতে পর্যাপ্ত পানি থাকে। তাই শরীরের পানির ঘাটতিপূর্ণ সাহায্য করে পাশাপাশি দূর করে ইলেক্ট্রো লাইটএর অভাব । এক ফালি তরমুজে থাকে প্রায় ১৭ গ্রাম চিনি তরমুজ অতিরিক্ত খেলে বা রক্তের শর্করা বাড়িয়ে তুলে তাই ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ফল কম খাওয়া উত্তম।
শেষ কথা।
ডায়াবেটিস একটি মরণঘাতী রোগ, এটি বংশগতভাবেও হতে পারে, আবার বংশগত নাও হতে পারে। তবে ডায়াবেটিকস রোগীদের ওষুধ খাওয়ার চাইতে নিয়ম মেনে চলাটাই বেশি দরকারি । খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন সকালে হাঁটা চলাফেরা করা নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়া ও অধিক আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করাটাই শ্রেয়। তাই আসুন ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানি এ সম্পর্কে নিয়ম নিষেধ মেনে চলি সুন্দর সুস্থ জীবন গড়ে তুলি ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url