তুত ফল কেন খাবেন
তুত ফলের উপকারিতা কি কি জেনে নেয়া যাক
তুত ফল যা মালবেরি নামে পরিচিত এটি মিষ্টি ও পুষ্টিকর ফল এটি ভিটামিন সি ভিটামিন
কে ফাইবার এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়এবং ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের
সাহায্য করে। তুত ফল একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত
থেকে রক্ষা করে।
অবহেলিত তুত ফলই বিদেশি মালবেরি নামে পরিচিত
তুথ ফলের ইংরেজি নাম মাল বেরি । এটি মিষ্টি ও পুষ্টিকর ফল হিসেবে পরিচিত রয়েছে।
এবং এই ফল সাধারণত কালো লাল বা সাদা রঙের হতে পারে। ফল ভিটামিন সি ভিটামিন কে
ফাইবার এবং বিভিন্ন অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে একটি অংশ
হিসেবে বিবেচিত। মালবেরি আয়রন সমৃদ্ধ তাই এর গ্রহণের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
বৃদ্ধি পায় ফলে রক্তস্বল্পতা রয়েছে এমন মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত অত্যাধ
উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুথ ফল উপকারী।এছাড়া পাকা ফল বায়ু ও
পিত্ত নাশক দাহনাশক ও জর নাশক গাছের ছাল কৃমি নাশক।
আসুন জেনে নিই তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস হয় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করে এই তুত ফল। তুত ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকায় এই ফল মানুষের শরীরে প্রবেশ
করার পর, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব ভালো কাজ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
আমাদের সমাজে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় আর এটি দূর করার জন্য
আমরা অনেক রকম ঔষধ গাছ গাছালি ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই তুত ফলে রয়েছে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার মহাশক্তি যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায় খুব সহজে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধকারী
অনেক মানুষের শরীরে রক্ত ঘাটতি থাকে আর এই ঘাটতি পূরণে তুত ফল খুব গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে। আয়রনের এই ভালো উৎস যা রক্তস্বল্পতা
প্রতিরোধে সাহায্য করে।
জ্বর ও কফ না শোকে ব্যবহার উপযোগী
তুত ফল জ্বর কমাতে সাহায্য করে এবং কফ দূর করার জন্য এটি খুব কার্যকারী ফল। বিশেষ
করে যাদের সমস্যা আছে তারা এই ফলটি খেতে পারেন। এই ফল খেলে উপকৃত হতে পারবেন।
ত্বকের জন্য উপকারী এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে
সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তুত ফল নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বক ভালো থাকে। এবং ত্বক
দেখতে উজ্জ্বল দেখায়, বিশেষ করে যাদের মুখে বয়সে চাপ পড়ে যায় তারা নিয়মিত এই
ফলটি খেলে ত্বকের উপর পড়ে থাকা ছাপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবং ত্বক দেখতে
উজ্জ্বল লাগবে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি
তুত ফল প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে সাহায্য করে। যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা হজমের সমস্যা দূর করার জন্য
খেতে পারেন এই উন্নত ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলটি, এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার
কারণে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এজন্যই ফলটি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
ভূমিকা পালন করে।
হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়
আমাদের সমাজে হৃদরোগের সমস্যা একটি কমন ব্যাধি হিসেবে পরিচিত। অধিকাংশ লোকেরই
হৃদরোগের সমস্যা আছে। হৃদরোগের সমস্যা দূর করার জন্য তুত ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন
করে। তাই তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি আছে, তারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ফলটি খেতে পারে।
তুত ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
তুত ফল যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, মানসিক স্বাস্থ্য
ভালো রাখে ঠিক তেমনি চোখে দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে এই ফলটি।, প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন থাকায় এটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই দৃষ্টিশক্তি
বৃদ্ধির জন্য আমরা এই পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেতে পারি।
তুত গাছের ফল ও পাতা যেন সব রোগের মহা ঔষধ।
উদ্ভিদ সংক্রান্ত আধুনিক গবেষণার নানা-অজানা সব তথ্য উঠে আসছে সম্প্রতি আমাদের
খুব চেনা গাছ তুত। এই নিয়ে অনেক নতুন কথা জানা যাচ্ছে এ গাছের ছাল ফল পাতা বাকল শিকড়
সবই বিপুল ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন। যেসব গুণের কারণে যে রোগের রেহাই মিলতে পারে। হৃদরোগ
ডায়াবেটিস কিডনির পাথর কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ যে বিষয়ে জানা গিয়েছে তা হলো তুত ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ দক্ষ।
রেশম পোকার জীবনচক্র আবির্ভূত হয় তুত পাতায় কেন রেশন তুত গাছকে বেছে নেই এর
কারণ খুঁজতে গিয়ে তুত পাতার অবাক করা পুষ্টিগুনের খোঁজ মেলে। পরে তুতের বাকল ও মূল
নিয়েও আলাদা আলাদা ভাবে গবেষণা করা হয় । দেখা যায় সব অংশে কমবেশি প্রায় একইরকম
পুষ্টিগুণ।
তুত ফলে২'১৮ শতাংশ জল ও ফাইবার ১'১৫% প্রোটিন ৩.৫ শতাংশ দেহ পদার্থ এবং
কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৩০.২ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি এ ছাড়া ভিটামিন এ ও বি আয়রন
ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। এটি উচ্চমানের পাতা এবং ফলের মতো তুত
গাছের বাকল মূলেও যথেষ্ট পুষ্টীয় উপাদান পেয়েছে গবেষকরা।
তুত গাছের পাতা ফল এবং মূল ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ফি
সাদী কেল গুলির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। রোগ নিরাময় বিদ্যায় এটি একটি
বিরাট ব্যাপার বিশেষত যখন সারা পৃথিবী হন্য হয়ে খুঁচছে ক্যান্সারের ওষুধ তখন এই
আবিষ্কার টা খুবই জরুরী।
তুত ফলে জিক্সান থিন থাকে এটি চোখের রেটিনাকে ক্ষতিকর থেকে বাঁচায়
চোখের ছানি পড়াও আটকায়। তুত ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো
রাখে তুঁতে ডায়েট ফাইবার বিদ্যমান এটি হজম তারান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গুরুত্বপূর্ণ প্লাবন অ্যাড ট্রল পাওয়া যায়। এছাড়াও তুত ফল এবং পাতার
নির্যাস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে খাওয়ার আগে তুত পাতার নির্যাস খেলে
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এতে শরীরের স্বাভাবিক চর্বি কমে যায়। তুত ফলের রস কিংবা
পাতার নির্যাস এমন জৈব যৌগ আছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
উপসংহার
উপরের বিশদ আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে। অধিক পুষ্টি
সম্পূর্ণ এই তুত ফলটি যদিও আমাদের সমাজে অবহেলিত জায়গায় এখনো পড়ে আছে। আমাদের
এই অবহেলিত ফলটি বিদেশে মাল বেরির নামে পরিচিত এবং এর চাহিদা অনেক, ভিন্ন
ভিন্ন রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে
কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে সহায়ক। এই গাছের ফলটি যেমন উপকারী। ঠিক তেমনি
গাছের পাতা রেশম চাষ অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা পালন করে এই ফল রসালো এবং
সুস্বাদু এটি দেখতে লাল কালো রংয়ের হয়ে থাকে। এই ফলটি সম্পূর্ণ যখন পেকে যায়
তখন এটি একটি দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের সৃষ্টি করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url