১০ তারিখে কুরবানী কেন হয়
কারণ এই দিনই হযরত ইব্রাহীম [আ,] তার প্রিয় পুত্রকে কুরবানী করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। আর আল্লাহতালা সে কুরবানীর স্মৃতি হিসেবে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ কোরবানি কে ফরজ করেছেন।এটাই ঈদুল আযহার শিক্ষা আত্মত্যাগ ও আল্লাহর আদেশ মান্যতা । তাই কুরবানী শুধু গোস্ত নয় বরং তা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগের প্রতিক।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন যাদের সামর্থতা থাকা সত্তেও কুরবানী করল না তারা যেন ঈদগাহে না আসে।
কুরবানীর প্রথম শর্ত হলো যে অর্থ দিয়ে কুরবানী করা হবে সেটা যেন হালাল হয়। কোরবানির গোস্তকে তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। একভাগ আত্মীয়-স্বজনের ,এক ভাগ মিসকিনের জন্য, এবং একভাগ নিজের জন্য।
জিলহজ মাস হিজরি বছরের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ মাস এই মাসের প্রথম দশ দিনে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত রেখেছেন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেন ,পৃথিবীর দিনসমূহের মাঝে সবচেয়ে উত্তম এবং উৎকৃষ্ট দিন জিলহাজ মাসের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দেগী করা ।আল্লাহতালার কাছে অনেক প্রিয় যার কারণে এই দ্বীনসমূহের ইবাদতের উপর অনেক বেশি সওয়াব দেওয়া হয় যেমন বর্ণিত আছে প্রথম দর্শকের নেক আমল যতটুকু প্রিয় এবং মর্যাদা পূর্ণ দিন
এই দিনগুলোতে বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আকবার পড়া অপর হাদীসে এসেছে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দী করা আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। এবং এই মাসের প্রতিটি রোজা এক বছরের রোজা রাখার সওয়াব রাখে আর প্রতি রাকাতের প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদতের সমান সওয়াব রাখে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url